রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি: কুয়াকাটায় নারী ও মাদক ব্যবসার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হুমায়ুনকে একটি নির্মাণাধীন ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় ওই ভবনে ভাংচুর চালানো হয়। পরে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার , ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হাচনাইন পারভেজ ও ডাবলু এবং থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযুক্ত ওই পুলিশ পরিদর্শককে উদ্ধার করে মহিপুর থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার রাতে কুয়াকাটা পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়া গ্রামে গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় যুবক কাইয়ূম সিকদার (৩০) এর সাথে মাদক ও নারী ব্যবসা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এসময় কাইয়ুম সিকদারকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় এমন অভিযোগে স্থানীয় মানুষজন জড়ো হয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর হুমায়ুনকে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ ওই ভবনে ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তারা অভিযোগ করেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের ওই কর্মকর্তার যোগসাজশে নারী ও মাদকের আড্ডা চলে এখানে। রুমের ভিতরে নারীসহ পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন অবস্থান করছে। তবে এমন অভিযোগের সত্যতা না পেলেও সেখান থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশের ওই কর্মকর্তা এবং ভবনের কেয়ার টেকার সবুজের দাবী তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। কাইয়ূম সিকদার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবনকারী। মদ খেয়ে এসে হোটেলে ভাংচুর চালায়।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন এখানে এর আগেও নারী ব্যবসা চলে আসছিল। তিনি এর আগে শাসিয়েছিলেন। তবে তার দাবী ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুনের আচরণ এবং চলাফেরা সন্দেহ জনক। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর নারী ও মাদক ব্যবসার সাথে জরিত থাকার অভিযোগ করেন।
এঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার।
Leave a Reply